সারা সোলায়মান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বৈশাখী শুভেচ্ছা জানান, নোয়েস আর্ট গ্যারেজ এর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল কাগনো,বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম খোকা, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ, মিসেস সোলায়মান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জয়ন্ত সিনহা ও আসিফ আনোয়ার।

উল্লেখ্য,আটলান্টিক সিটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবং এই সিটিতে বসবাসরত বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে গত ১৬ এপ্রিল, বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সিটি কাউন্সিলের সভায় পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের “নববর্ষ বরণ” অনুষ্ঠানটি পেয়েছিল ভিন্ন এক মাত্রা। বাংলা সংস্কৃতির রূপ, রস ও বৈচিত্র্যের নান্দনিক উপস্থাপনায় বৈশাখের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল আটলান্টিক সিটি।
তাকডুম তাকডুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল- এই গানের সুরে প্রবাসীরা হয়ে পড়েছিল নষ্টালজিক। তারা সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে পালন করেছে তাদের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ, যা পরম আরাধ্য ও চরম প্রাপ্তির বৈকুণ্ঠময় অনুভবের স্মারক হয়ে থাকল।

আয়োজকদের কথায়, এই উদ্যাপনের মূল উদ্দেশ্য বৃহত্তর প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতির প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দেওয়া, যাতে করে তারা তা অন্তরে ধারণ করে বেঁচে থাকতে পারে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মনোজগতে বাংলা সংস্কৃতি যাতে চির জাগরুক থাকে সেই লক্ষ্যেই ছিল তাদের এই প্রয়াস। ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠানে বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির নান্দনিক পরিবেশনা মন কেড়েছে এদেশের মূলধারার লোকজনদের, তাইতো তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে বাংগালি সংস্কৃতির জয়গান। ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠানে বাংলার হরেক পদের মুখরোচক খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে দেখা গেছে মূলধারার অনেককে।